Nelson Mendela: যা না জানলেই নয়
Nelson Mandela[1918-2013]
ন্যালসন ম্যান্ডেলা, বর্ণবাদী আন্দোলনের এক অবিস্মরণীয় নাম। আজ তার সম্পর্কে কিছু জানা যাক।
∅সাধারণ পরিচিতি:
১.জন্ম: ১৮ জুলাই ১৯১৮
মেজো, দক্ষিণ আফ্রিকা
২. ডাকনাম: মাদিবা।
১.জন্ম: ১৮ জুলাই ১৯১৮
মেজো, দক্ষিণ আফ্রিকা
২. ডাকনাম: মাদিবা।
৩.মৃত্যু: ৫ ডিসেম্বর ২০১৩
৪.জাতীয়তা: দক্ষিণ আফ্রিকান
৫.রাজনৈতিক দল: আফ্রিকার জাতীয় কংগ্রেস
৬.দাম্পত্য সঙ্গী: মোট ৩ জন।
১.ইভিলিন ন্তকো মাসে (১৯৪৪-১৯৫৭)
২.উইনি মাদিকিজেলা-ম্যা
৩গ্রাসা মাচেল (১৯৯৮–বর্তমান)
৭.সন্তান: ৬ জন।
মাদিবা থেম্বেকিল
মাগগাথো লিওয়ানিকা
মাকাজিউই
মাকি
জিনানি
জিঞ্জিসোয়া
৮.পড়ালেখা:
১.ইউনিভার্সিটি অব ফোর্ট হ্যায়ার
২.ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন এক্সটার্নাল সিস্টেম
৩.ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আফ্রিকা
৪.ইউনিভার্সিটি অব দি উইটওয়াটারস্র্য
৯.বাসস্থান: হাফটন এস্টেট, জোহানেসবার্গ, গাউটেং, দক্ষিণ আফ্রিকা
১০.ধর্ম: খ্রিস্টান ধর্ম
১১.ওয়েবসাইট: www.nelsonmande la.org
∅গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ:
পুরো নাম: নেলসন রোলিহ্লাহ্লা ম্যান্ডেলা।
পুরো নাম: নেলসন রোলিহ্লাহ্লা ম্যান্ডেলা।
∅তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
∅ম্যান্ডেলা ২৭ বছর কারাবাস করেন। এর অধিকাংশ সময়ই তিনি ছিলেন রবেন দ্বীপে।
∅১৯৬২ সালে বর্ণবাদী আন্দোলনের জন্য কারানরণ করেন।
∅১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি কারামুক্ত হন।
∅ তার প্রথম স্ত্রীর সাথে ১৯৫৭ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। প্রথম স্ত্রী মারা যান ২০০৪ সালে।
∅ম্যান্ডেলার জ্যেষ্ঠ পুত্র থেম্বি ২৫ বছর বয়সে ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। এসময় ম্যান্ডেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ম্যান্ডেলাকে তাঁর পুত্রের অন্তেষ্টিক্রিয় ায় অংশ নিতে দেয়নি।
∅তার প্রথম কন্যা সন্তান মাকাযিওয়ে ম্যান্ডেলা ৯ মাস বয়সে মারা যায়। [জন্ম: ১৯৪৭]
∅ মজার ব্যাপার হলো, তার ২য় কন্যার নামও তিনি "মাকাযিওয়ে ম্যান্ডেলা" ই রাখেন। [জন্ম: ১৯৫৩]
∅ তার ২য় পুত্র মাকাতাথ ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে ৫৪ বছর বয়সে এইডসে মারা যান। [
∅১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে ম্যান্ডেলাকে ভিক্টর ভার্সটার কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। মুক্তির আগে পর্যন্ত ম্যান্ডেলা এখানেই বন্দি ছিলেন।
∅ম্যান্ডেলার রাজনৈতিক জীবনের প্রথমভাগে তিনি মহাত্মা গান্ধির দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হন। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী কর্মীরা আন্দোলনের প্রথম দিকে গান্ধির অহিংস আন্দোলনের নীতিকে গ্রহণ করে বর্ণবাদের বিরোধিতা করেছিল।
∅ কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ:
"১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে আমরা সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করতে বাধ্য হই। বর্ণবাদের হিংস্রতার হাত থেকে আত্মরক্ষার খাতিরেই আমরা আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সশস্ত্র অঙ্গসংগঠন উমখান্তো উই সিযওয়ে গঠন করেছিলাম। সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করার পেছনের কারণগুলো এখনো রয়ে গিয়েছে। তাই এই সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো পথ নেই। আমরা আশা করি, শান্তি আলোচনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ অচিরেই সৃষ্টি হবে এবং আমাদের আর সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার দরকার হবেনা।"
© Imran Imu ©SaSagar
তথ্যসূত্র : Wikipedia ও অন্যান্য।
লেখায় কোন প্রকার ভুল থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আমার এই জানা এবং জানানোর ক্ষুদ্র প্রয়াসে আপনাদের স্বাগতম।
Comments
Post a Comment