Posts

Showing posts from 2019

অসম প্রেম ও একটি চিঠি

'আজকে আর অফিসে না গেলাম' কথাটা বলতে বলতে সদ্য বেছানো বিছানার উপরে গা এলিয়ে দিলো নিশি।  -তাহলে আমিও আজ ভার্সিটি না যাই? -না গেলে নাই। কিন্তু ওঠো তো ওঠো গা ছেড়ে দিবে না একদম। ভাত বসাবো একটু পরে, সাথে বেগুনটা একটু কেটে দিবা। ভাজবো। -আচ্ছা, তা বেশ। তবে তুমি তো আর এক্ষণি উঠছো না। সাফাতের কথার ভাবার্থ বুঝতে পেরে নিশি আর কিছু বললো না। পাশে গা এলিয়ে নিশির গালে চুম্মন আঁকলো সাফাত। তারপর গা জড়িয়ে শুয়ে থাকলো বেশ কতোক্ষণ।  -ওমা... ওঠো। কয়টা বাজে খেয়াল আছে? ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললো নিশি। সাফাত হঠাৎ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বিষম খেলো। পাক্কা ১২টা বেজে গেলো। এখনো নাস্তা করা হয়নি। -এতো অনিয়ম করলে চলে? (নিশি) -অনিয়ম কি আমি একাই করি হুহ (সাফাত) -আচ্ছা হয়েছে ওঠো। সাফাত বাথরুমে ফ্রেশ হয়েছে। নিশি চটপট কিছু একটা বানিয়ে ফেলে। টুনাটুনির সংসার, একটুতেই সন্তুষ্ট, ভালোই চলছে। "নিশি"। নিশি মেয়েটা দারুন কর্মঠ৷ ঢাকা ভার্সিটির সিএসসি হতে বি.এস.সি করে এই বছরই বেরিয়েছে। বাস্তবতার তাগিদে অতি দ্রুতই তাকে চাকরির ব্যবস্থা করতে হয়েছে। সাফাত একই ডিপার্টমেন্টে তারই এক ব্যাচ জুনিয়র। দুজনের

রুবেকা (রোমাঞ্চ গল্প)

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে আমাকে। সারারাত থানায় ছিলাম। সকালে অফিসার কয়েকটা প্রশ্ন করে আবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে বলে ছেড়ে দিলেন। ওহ! আমার স্ত্রী দুঃখিত প্রয়াত স্ত্রীর নাম "রুবি" বড় করলে "রুবেকা আহসান"। গত রাতে ড্রয়িং রুমের সিলিং ফ্যানে ঝুলানো ওর লাশ পাওয়া গেছে। বাড়িতে আমি, কাজের মেয়ে অন্তরা আর আমার স্ত্রী ছাড়া কেউ ছিলো না। তাই প্রাথমিক সন্দেহটা আমার উপরেই পড়েছে। পুলিশ ধরে নিয়েছে আত্মহত্যা। কিন্তু, রুবি আত্মহত্যা করবে কেন? ভালোই তো চলছিল আমাদের সংসার। গত মাসে আমার প্রমোশন হলো, বেতন বেড়ে ৭৫০০০ । ছেলে এস.এস.সি দিয়ে বিদেশে লেখাপড়া করছে, ২০০০ স্কয়ার ফিটের নতুন ফ্ল্যাট কিনলাম, ওর সাথে গত ৩ মাসেও কোন মনমালিন্যের কথাও তো মনে পড়ছে না। তবে? চাকরির সুবাধে মাঝে মাঝে বাইরে থাকতে হয়েছে ওকে ছাড়া। এ নিয়ে ওর কোন অভিযোগও ছিলনা কখনো। এসব ভাবতে ভাবতেই বাড়ির একেবারে কাছে চলে এসেছি। এলাকায় ঢোকার পরেই বুঝতে পেরেছিলাম, সবাই আমার দিকে কেমন দৃষ্টিতে দেখছে। এদেশের মানুষগুলো অপরাধ প্রমাণের আগেই কাউকে কি সুন্দর অপরাধী বানিয়ে দেয়। ইতিমধ্যে এলাকায় রটে গেছে অন্তরার সাথে

রম্যগল্প: "ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট-২"

বেশ কিছুদিন হবে হয়তো! বরাবরের মতো আজও সন্ধ্যায় পড়তে বসেছি। কিন্তু পড়া কি আর হয়? পাশে বসে আছে আমার গালফ্রেন্ড - মানে আমার একমাত্র মোবাইল..! বাবা বারবার আমার রুমে টহল দিয়ে যাচ্ছেন আর আমিও সুযোগ মতো এফবি স্ক্রোলিং করছি। কিন্তু লাইক দিচ্ছি না কোন পোষ্টে। ঢুকছি, কমেন্ট পড়ছি, বেরিয়ে আসছি। ভালোই চলছিল সময়টা। যদিও খুব একটা ভালো বলা যাবে না, সিঙ্গেল ব্যাচেলরদের যা হয় আরকি! সাতদিন ফেবুতে না এলেও খোঁজ নেওয়ার কেউ নেই। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। এগুলো এখন সয়ে গেছে। কোন পোষ্টে আক্রমণাত্মক কমেন্ট করে ঘেটে "ঘ" করে দেওয়ার অভ্যাস আগে থেকেই আছে। সেই উদ্দেশ্যেই আবারও একটা পেইজের পোষ্টে দেখলাম। পোষ্টটা ছিল আবার খানিকটা রোমান্টিক টাইপের তবে লজিকটা আমার পছন্দ হয়নি। এমনেই সিঙ্গেল তাই রোমান্টিক পোষ্ট দেখে গা জ্বলারই কথা। অনেক কাপলই দেখলাম একে অপরকে মেনসন করে নানা রোমান্টিক কথাবার্তা লিখছে। এটা দেখে গা আরও তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলো। কথায় আছে; যখন পাওয়া যায়না, তখন হিংসেটা হয় বেশি। প্রায় সবগুলো কমেন্টই মনোযোগের সাথে পড়া শেষ। কি ধাচের কমেন্ট করে পোষ্টের বারোটা বাজানো যায়, তাও ভেবে ফেলেছি। তবে হঠা

ছেলে!?

❤~ছেলে~❤ —ছোটবেলা থেকেই "বাবার পর সংসারের হাল ধরতে হবে" এমন বাস্তবতাকে মাথায় নিয়ে যাকে বড় হতে হয় ~ সেই ছেলে🙂 —যে বেকার থাকার জন্য বাবা-মা আর প্রতিবেশীদের হাজারো কটু কথা দিনের পর দিন মুখ বুজে সহ্য করে ~ সেই ছেলে🙂 —স্কুলে বেতের পর বেত খেয়েও যে টু শব্দটি করে না ~ সেই ছেলে🙂 —মেয়েদের সাথে না মিশলে আনস্মার্ট আর মিশলে যাকে চরিত্র খারাপ শুনতে হয় ~ সেই ছেলে🙂 — ছেলেরাও কাঁদে, অনেক কাঁদে তবে আড়ালে যে কান্না কখনো কারও চোখে পড়ে না ~ সেই ছেলে🙂 — সারা রাত ডিপ্রেশন আর অসুস্থতা  নিয়ে যে পরদিন সকালে দিব্যি সাধারণ মানুষের মতো অভিনয় করে ~ সেই ছেলে🙂 — প্রিয় মানুষের একটি কথায় যে নিজেকে বদলে ফেলতে পারে ~ সেই ছেলে🙂 —নিজের ভালোবাসার মানুষদের বিপদে যে সবার সামনে আড়াল করে রাখে ~ সেই ছেলে🙂 —প্রিয় মানুষটিকে যে সর্বদা সবার থেকে আড়াল করে রাখে, ভুল ত্রুটি শুধরানোর দায়িত্ব নেয় ~ সেই ছেলে🙂 — ভালোবেসে যে শাহ্জাহানের তাজমাহলের ন্যায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, জীবন বাজি রাখতে পারে ~ সেই ছেলে🙂 — "সব ছেলেই এক" শোনার পরেও যে বার বার বেহায়ার মতো ফিরে আসে ~ সেই ছেলে💔 — বাবা